পাইলস, এ্যানাল ফিশার ফিস্টুলার সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান

 National Institute of Diabetes and Digestive and Kidney Diseases (NIDDK) এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ জীবনের কোনও না কোনও সময় পাইলসের সমস্যায় ভোগে। National Center for Biotechnology Information (NCBI) এর একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রায় ৬ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনও না কোনও সময়ে এ্যানাল ফিশারের সমস্যায় ভুগে। সর্বশেষ  Journal of Gastroenterology  

একটি সমীক্ষা অনুসারে, প্রায় ১.২ থেকে ২.৮ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনও সময়ে এনাল ফিস্টুলার সমস্যায় ভুগতে পারে।
পরিসংখ্যানগুলো দেখে আতকে উঠলেন! হ্যা,আতকে ওঠার মতই বিষয়।প্রত্যেক বিশেষজ্ঞই একটা কথা বলে থাকেন যে, কোন রোগের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। আজকের এই ভিডিওতে আমরা  পাইলস,এ্যানাল ফিশার ফিস্টুলার সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। তাহলে চলুন যাওয়া যাক মূল ভিডিওতে ।

প্রথমেই চলুন পাইলসের প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

 

আঁশযুক্ত খাদ্য: বেশি আঁশযুক্ত খাদ্য যেমন শাকসবজি, ফল, এবং পূর্ণ শস্য খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে এবং পাইলসের উপসর্গ হ্রাস পাবে।

পানি পান করা: পর্যাপ্ত পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে এবং মল নরম থাকে, যা পাইলসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

অ্যালোভেরা জেল: প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল পাইলসের উপর লাগালে এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

বিসার্ক বাথ: হালকা গরম পানিতে বসে থাকা পাইলসের উপশমে কার্যকর হতে পারে।

 

 এ্যানাল ফিশার
এ্যানাল ফিশার তুলনামূলকভাবে কম হলেও বেশ ব্যথাদায়ক একটি সমস্যা।এই রোগ সব বয়সের মানুষের মধ্যে হতে পারে, তবে শিশু এবং যুবকদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।এর প্রতিকারের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল মলত্যাগের সময় নরম করার জন্য সাহায্য করে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ: বেশি আঁশযুক্ত খাদ্য এবং পর্যাপ্ত পানি পান করে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

তেল মালিশ: নারিকেল তেল বা ক্যাস্টর তেল ক্ষত স্থানে লাগালে তা নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে।

ফিস্টুলা

ফিস্টুলা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়, তবে এটি খুবই কষ্টকর এবং জটিল একটি সমস্যা।এটি সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায় এবং ক্রোনস ডিজিজ বা অন্যান্য প্রদাহজনিত অন্ত্রের রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই মারাত্নক রোগ প্রাকৃতিক উপায়ে কিছুটা হলেও নিরাময় করা সম্ভব।চলুন জেনে নেই।

 

নিম গাছ: নিম গাছের পাতা বা নিম তেল প্রদাহ কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

প্রোবায়োটিক খাবার: দই বা প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট ফিস্টুলার জীবাণু সংক্রমণ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

আদার রস: আদার রস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং ফিস্টুলার উপসর্গ হ্রাসে কার্যকর।
হালকা ব্যায়াম: রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং মলত্যাগ সহজ করতে হালকা ব্যায়াম উপকারী হতে পারে।

 
তবে একটা কথা মনে রাখবেন, এই সমস্যাগুলোর জন্য উপরে উল্লেখিত প্রাকৃতিক উপায়গুলি কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। তবে, যদি সমস্যা গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তি না পেলে বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসা গ্রহণ করা আবশ্যক। আপনার জীবন,তাই সুস্থ থাকাটাও আপনার উপর নির্ভর করে।নিজের খেয়াল রাখবেন।ভালো থাকুন।ধন্যবাদ।

রেফারেন্সঃ National Institute of Diabetes and Digestive and Kidney Diseases (NIDDK) NIDDK – Hemorrhoids 

National Center for Biotechnology Information (NCBI) : NCBI – Anal fissures
Journal of Gastroenterology ; Journal of Gastroenterology – Prevalence and Treatment of Anal Fistula

 

 

 

 

মহিলারা কেন পাইলস রোগে বেশি আক্রান্ত হন, এবং প্রাকৃতিক সমাধন

একবিংশ শতাব্দীতে ডায়াবেটিস,ক্যান্সারের পাশাপাশি যে রোগের নামটি সবচেয়ে বেশী শোনা যায় সেটি হলো পাইলস বা হেমোরয়েড। যন্তণাদায়ক এই রোগটির সবচেয়ে বেশী ভুক্তভুগী আমাদের মায়েরা। একটি নির্দিষ্ট গবেষণার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৪০-৫০% প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের জীবনে কখনও না কখনও পাইলসের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যদিও এই সংখ্যা অঞ্চল ও জনগোষ্ঠীভেদে ভিন্ন হতে পারে। মহিলারা বেশ কিছু কারণে পাইলস (হেমোরয়েড) রোগে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন। তবে আজকের এই ভিডিওতে আমরা মহিলাদের পাইলস হওয়ার প্রধাণ কয়েকটি কারণ নিয়ে আলোচনা করব।

  গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থার সময় মহিলাদের পেলভিস অঞ্চলে চাপ বৃদ্ধি পায়, যা পাইলসের সৃষ্টি করতে পারে। গর্ভের বৃদ্ধির সাথে সাথে রক্তনালীগুলির উপর চাপ বাড়ে এবং এই চাপ রক্তসঞ্চালনের বিঘ্ন ঘটিয়ে পাইলসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষত গর্ভাবস্থা ও প্রসবের সময় পাইলসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

 

প্রসব: সাধারণত প্রসবের সময় মহিলাদের অনেকক্ষণ ধরে জোর দিতে হয়, যা পাইলস সৃষ্টির একটি কারণ হতে পারে। এই অতিরিক্ত চাপ রক্তনালীগুলিকে ফুলিয়ে দিতে পারে এবং পাইলস হতে পারে।

 

হরমোনাল পরিবর্তন: মহিলাদের মাসিক চক্র এবং গর্ভাবস্থার সময় শরীরে বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তনগুলি শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে পাইলসের ঝুঁকি বাড়ে।

 

কোষ্ঠকাঠিন্য: গবেষণা বলে  মহিলারা সাধারণত  পুরুষদের তুলনায় কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় বেশি ভোগেন। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মলত্যাগ করার সময় অতিরিক্ত চাপ দিতে হয়, যা পাইলস সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ ।
জেনেটিক কারণ: পরিবারের ইতিহাসও পাইলসের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি পরিবারের অন্য সদস্যদের পাইলস থাকে, তাহলে ঐ পরিবারের মহিলাদের মধ্যে পাইলস হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশী থাকে।

 

বয়স: বয়স বৃদ্ধিও পাইলস সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে পাইলসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। মহিলাদের মধ্যে এই ঝুঁকি বিশেষভাবে দেখা যায়, বিশেষত যদি তারা অনেক সন্তান ধারণ করে থাকেন।  


পাইলসের সঠিক চিকিৎসা না করলে এটি এক সময় ভয়ংকর  আকার ধারণ করতে পারে। তাই এর স্টহিক চিকিৎসা করা অতিব গুরুতপূর্ণ। আপনি হয়তো অনেক জায়গা থেকে চিকিৎসা নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। যন্ত্রণাদায়ক এই রোগ থেকে  এই রোগ থেকে মুক্তি পাননি। আমি আপনাদের শেষবার একটি ঔষধের উপর ভরসা  করতে  বলব “পাইলস কেয়ার”। ইউনানী ও আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মেনে  ২৫  টি প্রাকৃতিক গাছ গাছরা, লতা গুল্ম থেকে তৈরি পাইলস কেয়ার ।  মূলত এটি এক বিশেষ ধরনের ন্যাচারাল ভেষজ পাউডার। এতে ব্যবহার করা হয়েছে- রসৌত, দারুয়াহরীদ্রা, গুগ্গুল, মুকিল, রক্তচন্দন, লাক্ষা, লেমনঘাস, এ্যাজখরমক্কী,বড়এলাচবীজ,চিতামূল, কাশুনীবীজ, বড়হরতকী, জঙ্গীহরতকী, বেনামূল,নীমবীজ,চৈ-লতা, পিপুলমূল, গুলমরিচ, তালিশপত্র, নাগেশ্বরফুল, মারোয়াফুল, চিকোন-তোকমার মত সব ঔষধী উপাদান, এবং এছাড়াও পাইলস কেয়ারের  নিজস্ব ফর্মুলায় সম্পূর্ণ ন্যাচারাল সিক্রেট উপাদান দিয়ে তৈরী এই পাইলস কেয়ার। 
এটি একটি আয়ুর্বেদ ঔষধ হওয়ায় এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই। তাই এটি আপনি নির্ভয়ে ব্যবহার করতে পারেন। পাইলস কেয়ার পেতে আমাদের ওয়েবসাইট কিংবা পেইজে যোগাযোগ করতে পারেন। চাইলে আমাদের স্ক্রিনে দেওয়া নাম্বারে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। আর হ্যা,আমাদের পাইলস কেয়ার আপনি একদম ক্যাশ অন ডেলিভারিতে পাবেন। জীবনের শেষ চিকিৎসা ভেবে আমাদের পাইলস কেয়ার একবার ব্যবহার করুন,ইনশাল্লাহ আপনি প্রতারিত হবেন না।

Shopping Cart